Bajaj Pulsar NS160 আজকের যুগে যখন নতুন বাইক কেনার কথা আসে, তখন শুধু বাইকের লুক বা ডিজাইন দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়। একসঙ্গে ভালো পারফরম্যান্স, উন্নত প্রযুক্তি, আর নিরাপত্তাও দরকার, যা আমাদের রাইডিং এক্সপেরিয়েন্সকে করে তোলে আরামদায়ক ও নিরাপদ। এই বাইকটি সেই রাইডারদের জন্য এক অসাধারণ পছন্দ, যারা বাজেটের মধ্যে থেকে স্পোর্টি ফিল ও আধুনিক ফিচারের বাইক চান। শক্তিশালী ইঞ্জিন, আধুনিক ডিজাইন, আর ফিচারসমৃদ্ধ প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি এই বাইকটি আপনাকে সড়কে নিয়ে যাবে আত্মবিশ্বাসী আর মজাদার যাত্রায়।
Engine and Performance শক্তির কথা বললে Pulsar NS160

Bajaj Pulsar NS160-এর ১৬০.৩ cc Oil Cooled, Twin Spark 4-Valve FI DTS-i ইঞ্জিন চালকের জন্য শক্তিশালী পাওয়ার উৎপন্ন করে। এই ইঞ্জিন ১৭.২ PS এর সর্বোচ্চ পাওয়ার এবং ১৪.৬ Nm টর্ক প্রদান করে, যা শহর-আসপাস এবং হাইওয়েতে উভয় পরিস্থিতিতে খুব ভালো পারফরম্যান্স দিতে সক্ষম। ৬ স্পীড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্সের মাধ্যমে রাইডারগণ সহজেই গিয়ার পরিবর্তন করে স্মুথ ড্রাইভিং উপভোগ করতে পারেন। ফুয়েল ইনজেকশন প্রযুক্তির সাহায্যে জ্বালানি খরচ কমানোর পাশাপাশি BS6 মানের ইমিশন নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা হয়েছে, যা পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী।
Mileage দারুণ ফুয়েল ইকোনমি
বর্তমান বাজারে যারা ভালো মাইলেজের বাইক চান, তাদের জন্য Bajaj Pulsar NS160 দুর্দান্ত অপশন। এর ৪০.৩৬ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ অর্থাৎ city এবং highway দুই জায়গাতেই এটি জ্বালানি দক্ষ। দীর্ঘ দূরত্বে যাত্রী বা ডেইলি রাইডের জন্য এই মাইলেজ বেশ লাভজনক।
Design and Features স্টাইল এবং আধুনিক প্রযুক্তির মিশেল
Pulsar NS160 বাইকের ডিজাইন স্পোর্টি, আক্রমণাত্মক এবং যুবসমাজের জন্য একদম মানানসই। LED হেডলাইট ও টেইল লাইটের মাধ্যমে রাইডিং হয় আরও নিরাপদ এবং স্টাইলিশ। ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোলের মাধ্যমে স্পিডোমিটার, ট্যাচোমিটার, ট্রিপমিটার, ওডোমিটারসহ নানা তথ্য খুব সহজে দেখা যায়। এই ডিজিটাল ডিসপ্লেতে রয়েছে Bluetooth Connectivity, যার মাধ্যমে স্মার্টফোনের মিউজিক বা কল নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যা আজকের প্রযুক্তি সচেতন বাইকারদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়।
গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর, ডুয়াল ডিস্ক ব্রেক, ডুয়াল চ্যানেল ABS, Average Fuel Economy Indicator এবং Distance to Empty Indicator এর মতো ফিচার গুলো চালকদের রাইডিং অভিজ্ঞতাকে করে তোলে আরামদায়ক এবং নিরাপদ।
Safety and Braking System নিরাপত্তার পূর্ণ সদিচ্ছা
নিরাপত্তার দিক থেকে Bajaj Pulsar NS160 বেশ এগিয়ে আছে। এর সামনে ৩০০ মিমি এবং পেছনে ২৩০ মিমি ডুয়াল ডিস্ক ব্রেক থাকায় হঠাৎ ব্রেক করার সময় দ্রুত ও স্থিতিশীলভাবে গাড়ি থামানো সম্ভব। ডুয়াল চ্যানেল ABS ব্রেকিং সিস্টেম দুর্ঘটনা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিরাপদ রাইডের জন্য Upside Down Forks ফ্রন্ট সাসপেনশন এবং Nitrox Mono Shock Absorber সঙ্গে আসে, যা ঝাঁকুনি কমিয়ে আরামদায়ক রাইড নিশ্চিত করে।
Dimensions and Comfort আরামদায়ক রাইডিং এর জন্য

Pulsar NS160-র সেডেল উচ্চতা ৮০৫ মিমি, যা বেশিরভাগ রাইডারের জন্য সুবিধাজনক। ১৭০ মিমি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স শহুরে রাস্তায় নানা বাঁক ও গর্তে চলাচলের সময় সুবিধা দেয়। বাইকের ওজন মাত্র ১৫২ কেজি, যা এই সেগমেন্টে যথেষ্ট হালকা এবং নিয়ন্ত্রণযোগ্য।
১২ লিটার ফুয়েল ট্যাঙ্ক বড় রাস্তা পাড়ি দেয়ার জন্য যথেষ্ট জ্বালানি ধারণ করে। ১৩৭২ মিমি হুইলবেসের কারণে বাইকটি সড়কে স্থিতিশীল থাকে, বিশেষ করে হাই স্পিড রাইডিং এর সময়।
Final Thoughts কেন বেছে নেবেন Bajaj Pulsar NS160
যারা একটি কম দামি, কিন্তু পারফরম্যান্স ও প্রযুক্তিতে পূর্ণাঙ্গ স্পোর্টস বাইক খুঁজছেন, তাদের জন্য Bajaj Pulsar NS160 এক দুর্দান্ত অপশন। এটি শুধু স্টাইলিশ নয়, বরং মজবুত ইঞ্জিন, আধুনিক ডিজাইন, নিরাপদ ব্রেকিং সিস্টেম এবং চমৎকার মাইলেজের মাধ্যমে প্রতিদিনের যাত্রাকে করে তোলে স্মার্ট ও মজাদার। বাজেটের মধ্যে প্রিমিয়াম ফিল পাওয়া এই বাইকটি তরুণদের জন্য এক অনন্য সঙ্গী হতে পারে।
Disclaimer: এই আর্টিকেলটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। বাইকের স্পেসিফিকেশন, দাম ও ফিচারসমূহ সময় ও বাজারের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। বাইক কেনার আগে স্থানীয় ডিলার বা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ তথ্য যাচাই করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
Also read:
Royal Enfield Guerrilla 450 452 সিসি শক্তি এবং স্মার্ট ফিচারে সজ্জিত মাত্র 3.5 লাখ টাকায়
KTM 390 SMC R আধুনিক প্রযুক্তির এক অসাধারণ off road bike অভিজ্ঞতা
Indian Vintage একটি Cruiser Bike যা শুধু বাহন নয় অনুভবের নাম












