Bajaj Pulsar N160 প্রযুক্তির আধুনিকতা আর শক্তির এক নতুন মাত্রা শুরু মাত্র Rs 1.40 লক্ষ

Written by: Aditya Raj Singh

Published on:

Edited By:

Patrika Team

Follow Us

Bajaj Pulsar N160 বাইক চালানোর আনন্দকে কেবল গন্তব্যে পৌঁছানোর মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং প্রতিটি মুহূর্তকে স্মরণীয় করে তোলে। Bajaj Pulsar N160 আজকের যুগের প্রযুক্তি এবং পারফরম্যান্সের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তৈরি, যা আপনাকে দেবে এক নতুন রাইডিং অভিজ্ঞতা। Bajaj Pulsar N160-এর আধুনিক ডিজাইন, শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং স্মার্ট ফিচারগুলো একসঙ্গে মিলে বাইকিংকে করে তোলে আরও আনন্দময় এবং উত্তেজনাপূর্ণ।

Engine-এর দিক থেকে Bajaj Pulsar N160-এর ১৬৪.৮২ সিসি, ৪-স্ট্রোক, সিঙ্গল সিলিন্ডার SOHC ইঞ্জিনটি ১৬ পিএস পাওয়ার এবং ১৪.৬৫ Nm টর্ক উৎপাদন করে। এই ইঞ্জিনটি Air Cooled হওয়ায় দীর্ঘ রাইডে গরম হওয়ার সমস্যা কম থাকে এবং Fuel Injection প্রযুক্তির মাধ্যমে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও কার্যকর। ৫-স্পিড Manual Transmission এর মাধ্যমে বাইকটি চালানো হয় সহজ এবং মসৃণ।

ডিজাইন এবং আরামদায়কতা

Bajaj Pulsar N160
Bajaj Pulsar N160

Bajaj Pulsar N160 দেখতে আধুনিক ও স্পোর্টি, যা যুবক ও যেকোনো বয়সের মানুষের আকর্ষণীয় করে তোলে। LED হেডলাইট, LED টেইললাইট এবং LED টার্ন সিগন্যালের মাধ্যমে বাইকটির ভিসিবিলিটি বাড়ানো হয়েছে, যা নিরাপত্তার পাশাপাশি স্টাইল বাড়িয়ে দেয়। বাইকের ওজন মাত্র ১৫৪ কেজি হওয়ায় শহর কিংবা হাইওয়েতে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

৭৯৫ মিমি উচ্চতার সিট যেকোনো রাইডারকে আরামদায়ক বসার অভিজ্ঞতা দেয়। সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক (৩৭ মিমি) ও পেছনে নাইট্রক্স মনোশক সাসপেনশন সিস্টেম ঝাঁকুনি কমিয়ে মসৃণ রাইড নিশ্চিত করে।

স্মার্ট ফিচার এবং কনেক্টিভিটি

এই বাইকটির অন্যতম বড় বিশেষত্ব হলো এর আধুনিক Digital Instrument Console, যেখানে স্পিডোমিটার, ট্রিপমিটার, ওডোমিটার, ফুয়েল গেজ, ক্লক সহ নানা দরকারি তথ্য ডিজিটাল ডিসপ্লেতে দেখা যায়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো এর Bluetooth Connectivity, যা মোবাইল কল ও মেসেজ নোটিফিকেশন সরাসরি বাইকের ডিসপ্লেতে দেখায়। এটি রাইডারের জন্য যাত্রাপথে যোগাযোগ সহজ করে তোলে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। USB চার্জিং পোর্ট থাকার কারণে যাত্রাপথে মোবাইল ফোন চার্জ করার সুবিধাও পাওয়া যায়।

পারফরম্যান্স এবং মাইলেজ

Bajaj Pulsar N160 শহরে গড়ে ৫৯.১১ কিমি/লিটার এবং হাইওয়েতে ৪৪.৩৮ কিমি/লিটার মাইলেজ দেয়, যা জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং দীর্ঘ রাইডের জন্য আদর্শ। ০ থেকে ৮০ কিমি/ঘণ্টা গতি অর্জনে সময় লাগে মাত্র ৯.৪৪ সেকেন্ড এবং ০ থেকে ১০০ কিমি/ঘণ্টা গতি তোলার জন্য লাগে ১৬.৫৫ সেকেন্ড। এই দ্রুততা শহর কিংবা হাইওয়ে দুটোতেই ভালো পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে।

নিরাপত্তা এবং ব্রেকিং সিস্টেম

Bajaj Pulsar N160-এর সামনে ৩০০ মিমি এবং পেছনে ২৩0 মিমি ডিস্ক ব্রেক রয়েছে, যা শক্তিশালী ব্রেকিং ক্ষমতা প্রদান করে। Dual Channel ABS থাকার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। LED হেডলাইট ও টার্ন সিগন্যাল নিরাপদ রাইডিং নিশ্চিত করে।

ডিজাইন এবং অঙ্গসজ্জা

Bajaj Pulsar N160
Bajaj Pulsar N160

বাইকটির দৈর্ঘ্য ২০৯০ মিমি, প্রস্থ ৮৩৩ মিমি এবং উচ্চতা ১১২৫ মিমি, যা বাইকটির দৃঢ় ও স্পোর্টি আভা ফুটিয়ে তোলে। ১৪ লিটার ফুয়েল ট্যাঙ্ক দীর্ঘ পথের যাত্রা সহজ করে তোলে।

কেন বেছে নেবেন Bajaj Pulsar N160

যারা আধুনিক ডিজাইন, উন্নত পারফরম্যান্স, আরামদায়ক আরোহন এবং স্মার্ট প্রযুক্তি সমৃদ্ধ একটি বাইক খুঁজছেন, তাদের জন্য Bajaj Pulsar N160 নিঃসন্দেহে সেরা পছন্দ। এটি কেবল দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য নয়, বরং স্পোর্টি রাইডিংয়ে আগ্রহীদের জন্যও আদর্শ সঙ্গী।

মূল্য এবং বাজারে উপলব্ধতা

Bajaj Pulsar N160 বাজারে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পাওয়া যায়, যা এর উন্নত ফিচার এবং পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে সাশ্রয়ী। দাম স্থানীয় বাজারের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই ক্রয়ের আগে ডিলার থেকে সঠিক তথ্য নেওয়া জরুরি।

Disclaimer: এই আর্টিকেলটি Bajaj Pulsar N160 এর সর্বশেষ স্পেসিফিকেশন এবং তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। স্থানীয় বাজার ও ডিলারের ওপর নির্ভর করে স্পেসিফিকেশন ও দাম পরিবর্তিত হতে পারে। তাই সর্বদা অফিসিয়াল সোর্স থেকে তথ্য যাচাই করা বাঞ্ছনীয়।

Aditya Raj Singh

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ট্যালি প্রাইমে ডিপ্লোমা কর্ম যোগ্যতা: অভিজ্ঞ বাংলা এবং ইংরেজি ব্লগ লেখক, অটোমোবাইল এবং প্রযুক্তি ব্লগ লেখার ক্ষেত্রে ২ বছরের অভিজ্ঞতা।

For Feedback - patrikatimes2@gmail.com