Gold price শুধুই গয়নার নয়, এটি আবেগ ও আর্থিক নিরাপত্তার প্রতীক একটি মূল্যবান ধাতু যা হৃদয়ের কাছেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যখন হঠাৎ এই সোনার দাম আকাশ ছুঁয়ে যায়, তখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায় এই মূল্যবান ধাতু। গত মাসে এমনই এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, যখন সোনার দাম এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে অনেকেই গয়না কেনার পরিকল্পনা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হন। তবে এখন সেই কঠিন সময় পেরিয়ে সোনার বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
খবরটা শুনেই অনেকের মুখে হাসি ফুটেছে

কারণ সোনার দাম এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে! গত কিছু দিনের মধ্যেই প্রতি ১০ গ্রাম সোনায় ৬ হাজার টাকারও বেশি কমতি এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে আবারও বাজারে বেড়েছে ক্রেতার আনাগোনা। যারা অনেক দিন ধরেই সোনার গয়না কেনার সুযোগ খুঁজছিলেন, তাদের জন্য এটা হতে পারে একেবারে সোনালি সুযোগ।
বর্তমানে, ২৪ ক্যারেট সোনার দাম এসে দাঁড়িয়েছে ৯৬,৩৫০ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম, যা কিছুদিন আগেও ছিল অনেক বেশি। ২২ ক্যারেট সোনার দাম এখন ৮৮,৩২০ টাকা, আর ১৮ ক্যারেট সোনা বিক্রি হচ্ছে ৭২,২৬০ টাকা প্রতি ১০ গ্রামে। শুধু সোনা নয়, রূপার দামও অনেকটা কমেছে এখন প্রতি ১০ গ্রাম রূপার দাম ৯২,৫০০ টাকা।
এই দাম পতনের পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ
আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কমেছে, যেখানে প্রতি আউন্স সোনার মূল্য ২,৫৫৭ ডলার পর্যন্ত নেমে এসেছে। একই সঙ্গে ভারতের বাজারে সোনার চাহিদাও সাময়িকভাবে কমেছে। শেয়ার বাজারের উত্থানও সোনার দামে পতনের আরেকটি কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।
তবে একটি কথা মনে রাখা খুব জরুরি
সোনা কিনতে গিয়ে যেন কোনও প্রতারণার শিকার না হন। যেহেতু সোনা একটি মহামূল্যবান ধাতু, তাই এর ওজন, বিশুদ্ধতা, এবং বিল সংক্রান্ত সবকিছু ভালোভাবে যাচাই করে তবেই কিনুন। সব সময় হলমার্ক (Hallmark) দেখে সোনা কিনুন এবং নির্ভরযোগ্য দোকান থেকেই গয়না নিন।
মেকিং চার্জ ও জিএসটি মিলিয়ে চূড়ান্ত দাম একটু বাড়তে পারে, তাই আগে থেকেই সেই বিষয়েও স্পষ্ট ধারণা রাখুন।
Disclamer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র তথ্য প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে রচিত। এখানে উল্লিখিত সোনার দাম সময় ও বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। সোনা কেনার আগে নিজ দায়িত্বে যাচাই-বাছাই করে নিন এবং সঠিক ও বিশ্বস্ত উৎস থেকেই কেনাকাটা করুন।
Also read:
Gold Rate সোনার ঝড় থামল এবার কি দাম পড়বে আরও
Gold Rate আজকাল সোনা নামছে টপকে এটা কি কিনবার সেরা সময়
Gold দাম এর নতুন শিখরে ডলার দুর্বলতার প্রভাব